গেল বছরও ঠিক একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের রেজতপুর গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কের মাঝখানে থাকা ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বের সংযোগ সড়কটি ভাঙার ফলে। সেসময় পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের আলমগীর হোসেন স্ব-উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করেছিলেন সেটি। এতে করে এলাকাবাসী প্রায় ১বছর নির্বিঘ্নে যাতায়াত করেছে সড়কটি দিয়ে। পরবর্তীতে আলমগীর হোসেন এর খরচ হওয়া সমুদয় অর্থ পরিশোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।
তবে এবার দৃশ্যপট উল্টো, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পুনরায় সড়কের সেই স্থানটি নদীর পানিতে বিলিন হয়ে গেছে। করোনায় আলমগীর হোসেন এর আয়-রোজগার আগের মতো না হওয়ায় তিনি এবার এগিয়ে আসতে না পারলেও ব্রীজে থাকা একাধিক গর্ত নিজ অর্থায়নে মেরামত করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন জামাল গত তিন দিনে কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
পৌর এলাকার আলীয়াবাদ থেকে গোপালপুর হয়ে সাহেবনগর, নাসিরাবাদ, শ্যামগ্রাম, মানিকনগর যাওয়ার জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন প্রায় ১০ হাজার জনসাধারণ। দীর্ঘদিন এই সড়কটির সংস্কার না হওয়ার পাশাপাশি রেজতপুর নামক স্থানে থাকা ব্রীজটিরও অবস্থা একেবারে নাজুক। বর্তমানে ব্রীজটির উপর দিয়ে কোন প্রকার যান চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছে বৃষ্টির পানিতে সড়কটি ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উপক্রম হয়েছে। দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা না হলে রোগীসহ আমাদের সকলের পড়তে হবে বিপাকে।
গেল বছর সড়কটি সংস্কার করা আলমগীর হোসেন জানান, গত বছর আমি আমার টাকা দিয়ে মেরামত করেছিলাম। পরে ইউএনও স্যার আমাকে টাকা দিয়ে দিছে। এবছর আমি পারতেছি না। আমি চাই সরকারের পক্ষ থেকে তাড়াতাড়ি এটি মেরামত করা হোক।
রেজতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুহেনারা বেগম জানান, সড়কটি দিয়ে এই অঞ্চলের লোকজনসহ আশপাশের এলাকার লোকজনও যাতায়াত করে থাকে। দ্রুত ব্রীজসহ সড়কটির সংস্কার হলে আমাদের সকলের জন্য ভালো হবে।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন জামাল মুঠোফোনে বলেন, আমি সকালে গিয়ে সরেজমিনে দেখে আসছি। কবে নাগাদ কাজ শুরু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এটাতো বললেই হয়ে যাবে না, এর জন্য ফান্ড লাগবে। এল.জি.আর.ডি’র ইঞ্জিনিয়ার সাহেব এসে পরিদর্শন করার পর বলা যাবে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশাকরি আজ কালকের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির জানান, জনগণের কষ্ট লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই স্থানটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।