ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা যেন এখন বুড়ি ও তিতাস নদীর খাদ্যে পরিনত হয়েছে। পৌরশহরের প্রবেশমুখ মাঝিকাড়া এলাকায় অবস্থিত উপজেলা খাদ্য গুদামের পূর্বপাশে নদীর পাড়ের এলাকাজুড়ে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ওই স্থানটি এখন ময়লার ভাগারে রূপ নিয়েছে। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পৌরবাসীর জীবনযাত্রা। শুধু তাই নয় বর্ষার পানি বাড়ার সাথে সাথে ময়লা-আবর্জনা ভাসছে পানিতে, দূষিত হচ্ছে পানি। আগের মত এখন আর নদীর পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছে অতিদ্রæত এখান থেকে ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে অন্যত্র না নেয়া হলে পরিবেশের পাশাপাশি তিতাস নদী তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলবে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে।
সরকারী নীতিমালার আলোকে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী বিধৌত নবীনগর পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর নবীনগর পৌরসভা ‘গ’ শ্রেণির থাকলেও ধাপে ধাপে এটি বর্তমানে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। অর্থ্যাৎ নবীনগর পৌরসভাকে এখন ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ১৬.৯০ বর্গ কিঃমিঃ আয়তন আর ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই পৌরসভায় রয়েছে প্রায় ১১ হাজার পরিবার। তবে পৌরবাসীর আক্ষেপ নবীনগর পৌরসভাটি ১ম শ্রেণীতে উন্নিত হওয়ার পরও ড্রেনজ ও পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থাসহ পৌরসভার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী।
তবে আশারবাণী শুনিয়েছেন পৌর মেয়র এড. শিব শংকর দাস। তিনি জানান, আগামী মাসের মধ্যে ডাম্পিং ষ্টেশন এর কাজ সম্পূর্ণ রূপে শেষ হলে এ সমস্যা আর থাকবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র এড. শিব শংকর দাস।