21.6 C
New York
Saturday, October 5, 2024
spot_img

সুস্থ হয়ে আবারো স্কুলে যেতে চায় শিশু তাসলিমা, খেলতে চায় সহপাঠিদের সাথে ***

মেয়ের দুরারোগ্য ব্যাধি অতিমাত্রায় রক্তশূণ্যতা, দিতে হয় প্রতি মাসে এক ব্যাগ রক্ত। বিগত ২ বছর ধরে মেয়ে তাসলিমার চিকিৎসার খরচ বহন করা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাই গ্রামের দণি পাড়া কাজী বাড়ির মোঃ গিয়াস উদ্দিন এখন প্রায় নিঃস্ব হওয়ার পথে। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন দেশে আসার পর এখন পর্যন্ত দেশেই রয়ে গেছেন। এর ফলে আর্থিকভাবেও পড়েছেন খুব সমস্যায়। কোনরকমে সংসার চালানো গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে এখন মেয়ে তাসলিমার চিকিৎসার খরচ বহন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। মা ঝর্ণা বেগমও মেয়ের চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়-ঝাপ করে হাঁপিয়ে উঠেছেন। উপায়ন্তু না পেয়ে সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা কামনা করছেন মা ঝর্ণা বেগম।

মালাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসলিমা (১০) দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধি অতিমাত্রায় রক্তশূণ্যতায় ভুগছে। তার ডান হাত ও পা আংশিংক প্যারালাইসড হওয়ার কারনে বর্তমানে হাটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে তাসলিমার। দিনের বেশির ভাগ সময় তাসলিমার পাশ থাকা তার দাদী জানান ইতিমধ্যে ধার দেনা করে প্রায় ৩লক্ষ টাকা খরচ করলেও কোন অগ্রগতি হচ্ছে না তাসলিমার। অতি দ্রæত ঢাকার বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

তাসলিমার সাথে কথা বললে সে জানায়, সুস্থ হয়ে সে আগের মতো স্কুলে যেতে চায় এবং তার সহপাঠিদের সাথে খেলাধুলা করতে চায়।

আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল তাসলিমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন মালাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ লুৎফা বেগম।

উপজেলা পরিষদের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির জানান।

তাসলিমাকে সাহায্য করতে তার পরিবারের বিকাশ নাম্বার ০১৬৪৭-৮২৫৯১৫ এ যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন