ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তিন সন্তানের জননী এক নারীকে (৪৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ। মামাতো ও ফুফাতো ভাই মিলে পরিকল্পিতভাবে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারা।
এরা হলেন- উপজেলার গিলামোড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে আশ্বাদুল আলম প্রকাশ সুরুজ মিয়া(১৭) ও তার মামাতো ভাই হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ আলাউদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিন প্রকাশ সালু (১৫)।
আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দুপুরে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা গতকাল আদালেত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ মার্চ দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে চাল ও অন্যান্য বাজার ক্রয় করতে সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যান ওই নারী। বাজারে যাওয়ার পর বিকেলে মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। সন্ধ্যা থেকে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন ৬ মার্চ সকালে স্থানীয় একটি ঝোপের আড়ালে ওই নারী গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত নারীর ছেলে বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নামে বিজয়নগর থানা পুলিশ। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারসহ সোর্স ব্যবহার করে ৭ মার্চ রোববার হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত আশ্বাদুল আলম ওরফে সুরুজ মিয়া নামের একজনকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত সুরুজ মিয়া জানান, হত্যাকান্ডে তার সঙ্গে সহযোগী ছিলেন মামাত ভাই মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালু (১৫)। তারা দুজন পরিকল্পিতভাবে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। পরে রহিমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ ৩২ হাজার টাকা নিয়ে যান। পরে সুরুজের দেয়া তথ্য মতে সালুকে আটক করে পুলিশ।