মো. জামাল আহমেদ ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) থেকে:
ভৈরব পৌরসভার ওয়ারিশান সনদপত্র জাল করা ব্যক্তি মো. তাবারুক হোসেন এর মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আসামি হলেন ভৈরব থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকণ্ঠ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মিলাদ হোসেন অপু। কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে গত ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করেন তাবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তি। সে ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত শব্দর আলীর ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ০১/১২/২০২০ খ্রি. তারিখে দৈনিক পূর্বকণ্ঠ পত্রিকায় “জালিয়াতির মামলা থেকে রেহাই পেয়ে ভৈরব পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মামলা দিলেন এক প্রতারক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপুর বিরুদ্ধে মানহানীকর মামলার আসামি করেন তাবারক হোসেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, ভৈরব পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সোলায়মান, ভৈরব পৌরসভার সাবেক প্রধান সহকারী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, পৌর শহরের চণ্ডিবের এলাকার মৃত আব্দুল কাদির মিয়ার ছেলে মো. জিল্লুর রহমান, মৃত আ. ছাত্তার মিয়ার ছেলে মো. বাদল মিয়া, মৃত আব্দুল হেকমত আলীর ছেলে মো. লিয়াকত মিয়া, মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুল হেকিম মিয়া, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আল আমিন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. দ্বীন ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাবিবুল্লাহ নিয়াজ ও তৎকালীন ভৈরব থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম। বাদীর এজাহার সূত্রে জানা গেছে, একটি ওয়ারিশান সনদপত্র জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাদী তাবারুক হোসেনকে আসামিরা তার বাড়ি থেকে পৌরসভায় ডেকে এনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন পৌর মেয়র। পরে পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তারপর বাদী দুই মাস ১৭ দিন জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে জেল থেকে মুক্তি পায়। এ মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত বছরের ১২ জানুয়ারি তাবারুক হোসেনকে মুক্তি দিয়ে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। সাংবাদিক মিলাদ হোসেন অপুর বিরুদ্ধে তাবারক হোসেন নামে এক ব্যক্তির মামলা দেয়ায় ভৈরব প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এসএম বাকী বিল্লাহ, ভৈরব রিপোর্টার্স ক্লাব ও ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন, ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ আমিন, ভৈরব সাংবাদিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন মোল্লা, সময় টিভি ও ভোরের কাগজ ভৈরব প্রতিনিধি মো. ফজলুর রহমান, দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাভিশন টিভি ভৈরব প্রতিনিধি অধ্যাপক সত্যজিৎ দাস ধ্রুব, দৈনিক আজকাল ভৈরব প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাছুম, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ভৈরব প্রতিনিধি ওয়াহিদা আমিন পলি, দৈনিক কালেরকণ্ঠ ও বৈশাখী টিভি ভৈরব প্রতিনিধি আদিল উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক আমার সংবাদ ও মোহনা টিভি ভৈরব প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ভৈরবের সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানান ও মিথ্যা বানোয়াট মামলা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।