মায়ের কাছে দেওয়া ওয়াদা ঠিকই রক্ষা হলো, পেয়েছেন এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫। কিন্তু নিজের পরীক্ষা রেজাল্ট নিজে দেখে যেতে পারেনি। তার রেজাল্ট প্রকাশের পর গতকাল শনিবার দুপুরে নবীনগর পশ্চিম পাড়ায় তার বাসায় হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়।
জানাযায়, নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে শফিউল আলম ও নারগিস আক্তারের ছোট ছেলে নাহিদ আলম ব্রাহ্মবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পিএসসিতে জিপিএ-৫, জেএসসিতে ৪.৮৮, এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকেও জিপিএ- ৫ পেয়েছেন তার রোল ছিল ১৬৩৭০০। আকস্মিক পেটে পীড়াজণিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ জানুয়ারি মৃত্যুর কাছে পরাজয় বরণ করে চলে গেলেন পরপাড়ে।
নাহিদের পিতা শফিউল আলম, মাতা নারগিছ আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের দেওয়া ওয়াদা সে ঠিকই রেখেছে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু সে তার পরীক্ষার রেজাল্টা দেখে যেতে পারেনি। তার ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) বিভুতি ভুষন দেবনাথ বলেন, প্রতিষ্ঠানিকভাবে এখনো জানা যায়নি কতজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।