আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে, ময়নাল হক মইনুল;
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল সড়কগুলো বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নামে নাম করণ করা হবে। তারই প্রেক্ষিতে আখাউড়া উপজেলার দণি ইউনিয়ন পরিষদ আখাউড়া আগরতলা রোড হইতে নুরপুর গ্রামের শেষ সীমানা পযর্ন্ত সড়কটি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রজব আলী এর নামে নাম করণ করা হয়।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মাতৃভূমিকে রা করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিপে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন আখাউড়া উপজেলার নূরপুর গ্রামের রজব আলী। তিনি ১৯৬৪ সালে প্রথম বৃটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকসেনাদের গুলি তার বাম হাতে লেগে তিনি আহত হন। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮২ সালে বীরমুক্তিযোদ্ধা রজব আলী হাসপাতালে মারা যান।
আজ শনিবার সকালে নূরপর গ্রামে সংপ্তি আলোচনার মাধ্যমে সড়কটির নাম ফলক শুভ উদ্বোধন করেন আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা জামশেদ শাহ্।
আখাউড়া দণি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, দণি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম মুক্তো, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মিজান মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর নির্বাহী সভাপতি আবুল বাশার, নির্বাহী উপদেষ্টা দীপঙ্কর ঘোষ নয়ন, উপদেষ্টা জালাল হোসেন মামুন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন স্বাধীন, সিনিয়ার সভাপতি আরিফুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যুবরাজ শাহ্ রাসেল, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডার এর সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত মাষ্টার, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে।
সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধার ছেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সিনিয়র নির্বাহী সভাপতি আবুল বাসার।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কসবা-আখাউড়া টেলিভিশন সাংবাদিক কাবের সেক্রেটারী সাংবাদিক বাদল আহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ময়নাল হক ভুইয়া মইনুল।