ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে গত ১২ এপ্রিল দুই পক্ষের রক্তয়ী সংঘর্ষে প্রতিপরে হামলায় মোবারক মিয়া (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার রাতে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র্যাব-৯ গ্রেপ্তার করেছে। আজ সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে নবীনগর থানায় আনা হয়। পরে দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীনগর সার্কেলের দ্বায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন।
জানাযায়, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের কাউসার মোল্লা সর্দারের মাঝে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে, গত ১২ এপ্রিল রক্তয়ী সংঘর্ষের সময় রিকসা চালক মোবারক মিয়ার পা কেটে হাতে নিয়ে কাউসার মোল্লার লোকজন জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে। গুরুতর আহত মোবারক চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
এ ঘটনার ৬ দিন পর নিহতের চাচাতো ভাই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৫২ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তবে মোবারকের কাটা পায়ের অংশ নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দেওয়া ওই এলাকার মাইনুউদ্দিনের ছেলে রুমান এখনো আত্মগোপন করে রয়েছে।