কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে, ময়নাল হক ভূইয়া মইনুল;
ব্রাহ্মণবাড়িযার কসবায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জামাল মিয়া নামে এক কাঠমিলের শ্রমিক নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহত জামাল মিয়া ভোল্লাবাড়ী গ্রামের মরহুম নুরু মিস্ত্রির পুত্র।জামাল মিয়ার পরিবার সুত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে প্রতিদিনের মত কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে দক্ষিণ নোয়ামুড়া মসজিদের নিকট পৌঁছলে, পথে আজিজুল হক মাস্টারের হুকুমে তার দুই ছেলেসহ ৪/৫ জন ব্যাক্তি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাকে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। মুমুর্ষ অবস্থায় আশেপাশের লোকজন তাকে দ্রুত কসবা সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় একটি হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
জামাল মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার গ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামবাসীবাসীরা জানান আজিজুল হক মাস্টার এলাকায় একজন মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে আত্মীয়ের প্রভাব খাটিয়ে আজিজুল হকের লোকবল নিয়ে হামলা চালিয়ে জামাল মিয়াকে হত্যা করেছে বলে নাম প্রকাশ না করা সত্বে অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রীর কাছে জামাল মিয়া হত্যা মামলার বিচারসহ আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে দাবী জানান।
কুমিল্লা কোতয়ালী থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কসবা থানা পুলিশ।
এদিকে কসবা থানার পরিদর্শক তদন্ত আসাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, আহত জামালকে কসবা হাসাপাতালে দেখেছি এবং আহত অবস্থায় ৭জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ রেকর্ডভুক্তকরি এখন মামলাটি হত্যা মামলায় টার্ন করবে বলেও তিনি জানান।