ডেস্ক নিউজ;
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা টু বলিবাড়ির নতুন সড়কে ব্রীজ নির্মাণের জন্য জোরপূর্বক বাড়ির সীমানা দেয়াল ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির জাহানের নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি দেয়ালটি ভেঙ্গেছে বলে অভিযোগ উঠে। শনিবার এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী জাহানারা বেগম ইউপি সদস্য আমির জাহানকে প্রধান আসামী করে নবীনগর থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টির তদন্তে দায়িত্বে থাকা নবীনগর থানার এ.এস.আই বিল্লাল হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত সাপেে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরেজমিনে জানা যায়, বলিবাড়ি গ্রামের সর্বসাধারণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ এবাদুল করিম বুলবুলের সহযোগিতায় ও জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি স্থানীয়দের সমন্বয়ে বাঙ্গরা টু বলিবাড়ি প্রায় দুই কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণ করেন। বছরখানেক আগে সড়কটির নির্মান কাজ শেষ হলেও বলিবাড়ি পূর্ব পাড়া সরকার বাড়ির পশ্চিম পাশের খালে একটি ব্রীজের জন্য সড়কটির সুফল ভোগ করতে পারেনি পুরো গ্রামবাসী। খালটিতে সম্প্রতি এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রীজ বরাদ্দ দিলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির জাহান স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে কয়েক দফা খালের পূর্ব পাশের বাড়ির মালিক মরহুম আব্দুল অহিদ সরকারের পরিবারের সাথে ব্রীজটি নির্মাণের কথা জানালে তারা তাদের জায়গার উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মানে অনীহা প্রকাশ করেন। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে চরম ােভের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মরহুম আব্দুল অহিদ সরকারের স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান, আমার জায়গার দলিলসহ সব কাগজপত্র আছে, আমি আমার জায়গার উপর দিয়ে ব্রীজ দিতে অনীহা প্রকাশ করলে আমির জাহান মেম্বার সহ তাদের লোকজন এসে আমার বাড়িতে এসে অত্যাচার করে। আমি আমার জায়গার উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মান করতে দিবো না।
এব্যাপারে পাশ্ববর্তী জমির মালিক মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, কোন আইনে নাই আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে ব্রীজ নির্মাণ করবে, আমিও আমার জায়গার উপর দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ করতে দিবো না।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমির জাহান বলেন, তারা সরকারী খাল দখল করে ওয়াল নির্মান করে রাখায় ব্রীজের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাদের ওয়ালটি ভাঙ্গার জন্য অনুরোধ করলেও তারা তা শুনেননি। গ্রামবাসীর স্থার্থে এখানে ব্রীজটি দরকার, এখানে আমার নিজের কোন স্বার্থ নেই।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমি আমার তহশীলদারকে বলেছি সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদন দিতে। যদি দেয়ালটি খাস জায়গাতে না হয়ে ব্যাক্তিগত জায়গায় হয়, তাহলে দেয়ালটি ভাঙ্গার কারণে জরিমানা দিতে হবে।
নিউজ ডেস্ক, নবীনগর তিতাস টিভি।