মো. আনোয়ার হোসেন, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া;
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, “তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিবো।” এই মহাজ্ঞানীর উক্তি ধরে আমরা বলতে পারি শুধু শিক্ষিত মা হলেই হবে না বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পেছনে শিক্ষিত মায়ের পাশাপাশি আমাদের সমাজে থাকা শিক্ষাবান্ধব ব্যাক্তিবর্গেরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তেমনি একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০২২ সাল থেকে চালু করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌরসভার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেন সমূহের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের ফজলুর রহমান মুহুরী স্মৃতি বৃত্তি।
তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ফজলুর রহমান মুহুরী স্মৃতিবৃত্তি- ২০২৪।
ভাটা নদীর বাঁকে সমাজ কল্যাণ সংঘের আয়োজনে বুধবার আলমনগর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন করেন, লাউর ফতেহপুর তজুমিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আক্তার হোসেন।
সংগঠনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করেন সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন,
এবছর নবীনগর পৌর এলাকার ২০টি বিদ্যালয় থেকে ৯৪জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে টেলেন্টপুলে ১০ জন এবং প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সাধারন গ্রেডে দুইজন করে ১৮জন সর্বমোট ২৮ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। আগামীতে এই বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, আলমনগর দক্ষিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম, আলমনগর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফা, বানিয়াচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, মাওলানা রায়হান উদ্দীন আনছারী, উলচাপাড়া মালেকা ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন, সমাজ সেবক হাবিবুর রহমান রুবেল, সঙ্গীত শিল্পী ও শিক্ষক অজয় কুমার মুখার্জী, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, উপ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আউয়াল সুমনসহ আরো অনেকে।
ফজলুর রহমান মুহুরী স্মৃতিবৃত্তি- ২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারি ফারজানা আক্তার সুমির দায়িত্বে পরিচালনা করা হয় প্রাথমিক মেডিক্যাল ক্যাম্পিং। এসময় অনেকেই দেখা যায় স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে।