আল-আমীন বিন নান্নুমিয়া, রিয়াদ (সৌদীআরব);
বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ।
বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রেখে বিদেশের মাটিতে দেশের জন্য সম্মান বৃদ্ধি ও বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাবার জন্য আহবান জানিয়েছেন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ। পাশাপাশি তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যন্স পাঠিয়ে দেশ ও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার অনুরোধ করেন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপল্েয সৌদী আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি বিন¤্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ত্রিশ ল শহিদ ও নির্যাতিত দুই লাধিক মা-বোনদের এবং জুলাই আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে শহিদ ছাত্র জনতাদের।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ আরও বলেন, একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে হলে নিজেদের মধ্যে একতার কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে একতা ছিলো বলেই ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালী অস্ত্রে-শস্ত্রে সুসজ্জিত পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্থ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। একইভাবে, ছাত্র জনতার একতা ২০২৪-এ আবার আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ আরেকবার আস্বাদন করিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই একতাই আমাদের দেশি-বিদেশী যে কোন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তিনি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেবার জন্য আমাদের দেশের তরুনদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপল্েয আজ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিব উল্লাহ। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ ও রিয়াদস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উপস্থিত ছিলেন। এরপর দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও ফুল দিয়ে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিার্থীরা। শিার্থীরা তাঁদের বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের বিজয় অর্জন, জুলাই ‘২৪ এর গণ-আন্দোলনের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান কাউন্সিলর মোঃ বেলাল হোসেন। আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপল্েয প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।