ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ লাউর ফতেহপুর আর এনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপল্েয পুনর্মিলনী উৎসবের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন সকল আগ্রহী শিার্থীরা পুনর্মিলনী উৎসবের নিবন্ধন ফরম পূরণ করে অন্ষ্ঠুানকে সফল করার আহব্বান জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। লাউর ফতেহপুর আর এনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিন খান জানান, ১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারি বাবু আনন্দ মোহন তলাপাত্র অত্র এলাকার নারী শিার অগ্রযাত্রায় তার পিতার নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। আমরা চাচ্ছি এই ৫০ বছরে যারা এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা নিয়ে স্কুলের গন্ডি অতিক্রম করে গেছে, তাদের পদচারণায় যাতে বিদ্যালয়টি মুখরিত হয়। সেই লক্ষ্য নিয়ে বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপল্েয পুনর্মিলনী উৎসবের পদপে আমরা নিয়েছি। অনুষ্ঠানটি সফল করতে তিনি প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেন। লাউর ফতেহপুর আর এনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। সফলতার সাথে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টি ৫০ বছর অতিক্রম করছে। আমরা চাই, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পুনর্মিলনী উৎসবে প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিকে সফল করে তুলবে। এজন্য তিনি সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পুনর্মিলনী উৎসবের নিবন্ধন করার আহব্বান জানান। তিনি আরো জানান, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আমাদের এলাকাবাসীর অনেক স্বপ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টির শিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সকল পর্যায়ে গুরুত্ব দিয়ে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমরা নবীনগরের মধ্যে এই বিদ্যালয়টিকে একটি মডেল প্রতিষ্ঠানে রুপ দিবো ইনশাল্লাহ্, এজন্য তিনি এলাকাবাসীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লাউর ফতেহপুর আর এনটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন উপজেলার মাধ্যমিক শিা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন। বিদ্যালয়ের ল্যাব ও বেশ কয়েকটি শ্রেনীকক্ষ পরির্দশন শেষে তিনি জানান, বিদ্যালয়টির বর্তমান পরিবেশ তাকে বেশ মুগ্ধ করেছে। বিদ্যালয়টি নবীনগরের মধ্যে ভালো পজিশনে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাব্যাক্ত করেন।
ওয়াহেদুজ্জামান দিপু, নবীনগর তিতাস টিভি।