ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গোল্ডকাপ ক্রিকেট টূর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলার লাউর ফতেহপুর খেলার মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্রীড়া শক্তি, ক্রীড়া বলম মাদক ছেড়ে খেলায় চল এই শ্লোগানকে সামনে রেখে লাউর ফতেহপুর যুব সমাজের আয়োজনে ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করে নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ক্রিকেট একাদশ বনাম কসবা উপজেলার কসবা ক্রিকেট একাডেমি।
ক্রীড়ামোদী শত শত দর্শকের উপস্থিতিতে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল খেলায় কসবা ক্রিকেট একাডেমিকে হারিয়ে ইব্রাহীমপুর ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন বশির আহম্মেদ সবুজ ও মোঃ সবুজ আহম্মেদ। রাশেদুল আল আমিন রাসেলের মনোমুগ্ধকর ধারাভাষ্যে ফাইনাল খেলায় দর্শকের মনে আনন্দ ও প্রাণ চাঞ্চল্য ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও স্বর্ণের হার এবং রানার্সআপ দলের অধিনায়কের হাতে ৩২ ইঞ্চি এলএইডি টিভি পুরষ্কার হিসেবে তুলে দেন।
টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাহাবুব সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাক্তার মিজানুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। উদ্বোধক হিসেবে ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধন করেন লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন, ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান কবির, টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক ইদন, সাবেক ইউপি সদস্য ফিরুজ মিয়া, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম আকাশ, যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার আনিছ, আবু সাঈদ ও নাছির উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
রিজু আহাম্মদ রিজনের সার্বিক তত্তবধায়নে ফাইনাল খেলা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতা করেন মোঃ রুবেল, মোঃ মামুন, মোঃ জালাল, মোঃ খোকন, মোঃ রিফাত, মোঃ পরশ, মোঃ রাশেদ, মোঃ রাজিব, মোঃ শরিফ, মোঃ আরিফ, মোঃ রাফি, মোঃ আশিক, মোঃ সোহাগ, মোঃ ইমরান, মোঃ শিপন, মোঃ মাসুক ও মোঃ সাব্বির।