ফেসবুকে একটি পোস্টের জের ধরে গত শুক্রবার নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।
এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন, নবাগত পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহেল, বীরমুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম, অধ্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম, অধ্য এনামুল হক কুতুবী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অজন্ত কুমার ভদ্র, প্রেসকাব সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মেহেদী হাসান, উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব হাফেজ মো. বেলাল হোসাইন, ইসকন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ দাস গোস্বামীসহ আরো অনেকে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নবীনগর মহিলা কলেজ এর অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউসার বেগম, মাওলানা এম.এ মতিনসহ আরো অনেকে।
সভায় বক্তাগণ বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষে এবং বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি চক্র এমন ন্যাক্কারজনক সা¤প্রদায়িক হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে আমাদের নবীনগর সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনণ্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত। বক্তাগণ আরো বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় যখন সারাদেশ উত্তাল সে সময় নবীনগর উপজেলার স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল মহোদয় সকল ধর্মের লোকের সমন্বয়ে একটি বৃহৎ সম্প্রীতির মানববন্ধন করেছিলেন, যা সারা দেশে সমাদৃত হয়েছিল। বিগত ৫০ বছরে নবীনগর উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার মতো তেমন কোন ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। ভবিষ্যতেও এই নবীনগরে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে যে চমৎকার ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির বন্ধন সেটাকে ধরে রাখতে সকলেই দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় নড়াইলের ঘটনায় আসল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।