ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহ আলম (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের মেরাতলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শাহ আলম একই গ্রামের মরহুম আব্দুল মালেক সর্দারের ছেলে। এ ঘটনায় ৭জন আহত হয়েছেন এবং পুলিশ আব্দুল হামিদ ও কুলসুম বেগম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের চাচাতো ভাই কামাল মিয়া জানান, গত শুক্রবার এলাকার বাহার মিয়া ও রিফাত মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে গতকাল শনিবার রাতে এলাকার জাহের মিয়ার বাড়ি প্রাঙ্গণে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সালিশে জিয়া নামে একজন অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চান শাহ আলম। এ নিয়ে সফর মিয়া, সাঈদুল, ছুট্টু ও রিফাতের সঙ্গে শাহ আলমের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহ আলমের উপর হামলা চালায়। এ সময় শাহ আলমের একটি চোখে বল্লমের আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহ আলমকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে মধ্যরাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, গত শুক্রবার প্রতিবন্ধী বাহার ও তার স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্ট ঝগড়ার ভিডিও মোবাইলে ধারন করে রিফাত। এ নিয়ে রিফাত ও বাহারের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবার রাতে বিষয়টি মীমাংসার উদ্দেশ্যে শাহ আলমসহ স্থানীয় সর্দাররা একটি সালিশি সভা করেন। সেখানে শাহ আলম ও রিফাতের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিফাতের সাথে থাকা সাইদুল নামের একজন টেডা দিয়ে শাহ আলমের চোখে আঘাত করে। গুরতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথিমধ্যে শাহ আলম মারা যায়। এলাকার সাবির্ক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনরু রশিদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে শাহ আলমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।