দেশীয় ফলমূলের পাশাপাশি বর্তমান বাজারে ড্রাগন ফলের উপস্থিতি বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। মুখোরোচক এই ফলটিতে রয়েছে প্রায় সবধরণের ভিটামিন। বিদেশী ফল হলেও এদেশে এই ফলের চাহিদা এখন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ড্রাগন চাষে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। এটি চাষে খরচ ও ঝুঁকির তুলনায় লাভের অংশই বেশি।
সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানেও ড্রাগন ফল চাষ করে সফতার মুখ দেখছেন একাধিক উদ্যোক্তা। পুরো উপজেলাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ একর জমিতে এই ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলি আজ্জম সরকারে’র ড্রাগন ফলের বাগান ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচ ফুট উচ্চতার খুঁটি পেঁচিয়ে উঠেছে ড্রাগন ফলের গাছ। গাছে ঝুলছে তিন থেকে চারটি কাঁচা-আধা পাকা ড্রাগন ফল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে এর চাষ পদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন। চারা রোপণের এক থেকে দেড় বছরের মাথায় গাছে ফল আসে। একটি গাছ পরিপক্ক হতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগে। পরিপক্ব গাছে ২৫ থেকে ৩০টি ড্রাগন ফল ধরে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ কেজি ফল বিক্রি করতে পারছেন তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করা হলে দেশের অনেক বেকার যুবক এই ড্রাগন ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন বলেও আশা করা যাচ্ছে।
শুধু ড্রাগন ফলই নয়, কৃষি বিষয়ে যে কোন পরামর্শ নিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের কৃষি অফিসে আসার আহবান জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জগলুল হায়দার।