জামাল আহমেদ (কিশোরগঞ্জ) ভৈরব থেকে:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্তঃজেলা গরু চোর সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য কে গ্রেফতার করেছে ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ। এ সময় ৫টি চোরাই গরুও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে চুরি হওয়া গরুর মালিক কৃষক আঃ রহিম ও তার মেয়ে মমতা বেগমের কাছে বাজিতপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত গরুগুলি বুঝিয়ে দেয় নৌ-থানা পুলিশ।
নৌ-থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌ-থানার উপ-পরিদর্শক রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে আজ বুধবার ভোরে আগানাগর ইউনিয়নের খলাপাড়া নামক স্থানে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে এলাকাবাসিদের সহায়তায় নৌকা বোঝাই গরুসহ চোর চক্রকে পুলিশ ধাওয়া করলে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ২টি গরুসহ ২ চোরকে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে লুন্দিয়া গ্রামের ১টি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আরো ৩টি গরুসহ ওই চক্রের আরো ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বরচর গ্রামের আলতু মিয়ার পুত্র বকুল মিয়া (৩০), ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের মিরারচর গ্রামের অহাব মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম (২৮), ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের হাজি উদু মিয়ার পুত্র সুলতান মিয়া (৩০), ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া ওরফে নাসির (৩২) ও নরসিংদীর ভেলানগরের হারুন মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া।
পুলিশ আরো জানায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার শাহপুর গ্রামের কৃষক আঃ রহিমের বাড়ীর গোয়াল ঘর থেকে গরু গুলো চুরি করে রাতের আধারে নৌকাযোগে ভৈরবে আনার পথে পুলিশ গরুসহ তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। এর আগেও এই চক্রের ১০জনকে ১০টি গরুসহ আমরা গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। এ বিষয়ে বাজিতপুর থানায় আঃ রহিম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।