ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রামে আদালতের নির্দেশে দাফনের দীর্ঘ আড়াই বছর পর কবর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে উপজেলা সহকারি ভ‚মি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে নবীনগর থানা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় নারুই উত্তর পাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরিবারিক ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারুই গ্রামের হানিফ মিয়ার সঙ্গে জায়গা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ অবস্থায় ১৭/১১/২০১৯ইং তারিখে মারা যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ মিয়া। পরে সামাজিকভাবে মরদেহ দাফন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ মিয়ার স্ত্রী দাবি করেন তার স্বামীকে মেরে ফেলেছে হানিফ মিয়াসহ তার সঙ্গীরা। গত ০৭/০৯/২১ইং তারিখে স্ত্রী হোসনা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে শনিবার সকালে কবর থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদী হোসনা বেগম জানান, আমার স্বামীর স্বাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল হানিফ মিয়ার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লাশ উত্তোলনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।