ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের এতিমখানায় অবস্থিত উপজেলা মডেল মসজিদে টিকটক তৈরি করতে গিয়ে উঠতি বয়সের কিশোরদের দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। ক্ষণিকের মধ্যে এই চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক তাৎক্ষণিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং বিকেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন
নবীনগর থানা ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগীতায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় মসজিদের মুসল্লিদের অভিযোগের ভিত্তিতে মসজিদ কমপ্লেক্স এর উপরে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে ভিডিও তৈরি করার সময় ৩৫জন বখাটেকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন।
পরবর্তীতে আটককৃতরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে এবং আর কখনো এই ধরণের আচরণ করবে না মর্মে অঙ্গীকার প্রদান করায় স্থানীয় মুরব্বিদের জিম্মায় আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নবীনগর থানার এস.আই মান্নানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মডেল মসজিদের পেশ ইমামসহ মুসল্লিগণ।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন জানান, দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২৯৪ ধারায় প্রকাশ্য অশ্লীলতার শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য উক্ত ধারাটি মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফশিলভুক্ত। এ ধারায় বলা হয়েছে-
২৯৪। অশ্লীল কার্য ও সঙ্গীত করার শাস্তি :
যদি কোন ব্যক্তি অন্যদের বিরক্তি সৃষ্টি করে-
ক) কোন প্রকাশ্য স্থানে কোন অশ্লীল কার্য করে, অথবা
খ) কোন প্রকাশ্য স্থানে তার সন্নিকটে কোন অশ্লীল গান, গাঁথা, সঙ্গীত বা পদাবলী গায়, আবৃত্তি করে বা উচ্চারণ করে তাহলে সে ব্যক্তি ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত যে কোন বর্ণনার কারাদন্ড বা জরিমানাদন্ডে বা উভয়প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবে। নবীনগর উপজেলায় নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।