মাসুম মির্জা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের আর্দশ গুড়িগ্রামের কৃষকরা ঝুঁকছেন চিনা বাদাম চাষে। অন্য ফসলের তুলনায় উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ার ফলে এই ফসটিতে লাভের পরিমানও বেশি। তবে সরকারিভাবে সহযোগিতা পাওয়া গেলে এই উৎপাদনে আরো অনেকই এগিয়ে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন এলাকার চাষীরা।
বর্ষায় চারিদিকে পানি থৈ থৈ করলেও উপজেলার কিছু কিছু ইউনিয়নের অনেক ফসলি জমি খানিকটা উচুতে থাকায় সেখানে কৃষকরা করছেন চিনা বাদামের চাষ। মাত্র আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাদাম ঘরে তোলা যায়। উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় এই ফসলটিতে লাভের পরিমাণও বেশি বলছেন কৃষকরা। মুখরোচক ও পুষ্টিগুণের কারণে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ প্রচুর। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এবার বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
বিটঘর ইউনিয়নের আদর্শ গুড়িগ্রামের চিনা বাদাম চাষী কালু মিয়া ভ‚ইয়া ও তার পরিবার জানিয়েছেন ৯০ শতক জমিতে চিনা বাদামের উৎপাদন ব্যয় প্রায় ১০ হাজার টাকা, যেখান থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বাদাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তাহের জানান, এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই খাতে কোন প্রকার আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা নাই, তবে এ বিষয়ে যে কোন পরামর্শ দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।
তবে শুধু উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নই নয় বর্ষা শেষে উপজেলার বহু চরাঞ্চলেও বাদাম চাষ করে থাকেন কৃষকরা। সরকারী ভাবে কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি, উন্নত বীজ ও সঠিক প্রশিণ দেয়া গেলে আগামীতে ভোজ্য তেল সেক্টরে এই বাদাম হতে পারে উজ্জল সম্ভাবনা।