মিষ্টির একটি খালি প্যাকেট এর ওজন যদি ২৫০ গ্রাম হয় তাহলে একজন ক্রেতা সঠিক দাম দিয়ে ১ কেজি মিষ্টি ক্রয়ে মাত্র ৭৫০ গ্রাম মিষ্টি পাচ্ছে, বিষয়টি যেমন অবাকের তেমনি পন্যের গায়ে থাকা সঠিক মূল্য পরিশোধ করে যদি ক্রেতা পান একটি মেয়াদত্তীর্ণ পন্য সেটিও কি কম অবাকের। এরই সাথে আছে ন্যায্য মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রয়। সবকিছু মিলিয়ে যখন কোন অভিযোগ উঠে তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমান আদালত বসানো ছাড়া কোন উপায় থাকে না। বলছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজারের কথা। আজ বুধবার সেই বাজারে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রা ও বাজার নিয়ন্ত্রণের লে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহাকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন। অভিযানকালে বাজারের ব্যবসায়ীরা মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায়, বিভিন্ন পণ্যের মেয়াদ না থাকায় এবং রমজান উপলে সাধারন ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মুল্য রাখায় ও মিষ্টির দোকানের প্যাকেটে’র ওজন বেশি থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরণ আইন ২০০৯ এর ৩৮, ৪৬ এবং ৫১ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মোট ০৫টি মামলায় ০৫ জন ব্যবসায়ীকে ৪১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে সহযোগীতা করেন বাঙ্গরা বাজার ব্যবসায়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আওয়াল রবি। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে কিছু ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের দোকান জব্দ করে চেয়ারম্যান’র জিম্মায় দেয়া হয়। সহাকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন জানান, নিয়মিত অভিযানের কর্মসূচী হিসেবে আজকের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমাদের এই অভিযান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। সকল অসাধু ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে।