ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাটা নদীর উপর থাকা মরণ ব্রীজ খ্যাত ব্রীজটি এখন আর নাই, নতুন করে নির্মাণ করার লক্ষে প্রায় ৩ মাস আগেই ভেঙে ফেলা হয়েছে ব্রীজটি। আলমনগর উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ব্রীজটি ভাঙার পূর্বে কোন প্রকার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করার কারণে বয়ঃবৃদ্ধসহ স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী এমনকি মুমুর্ষ রোগীদের জন্যও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। উপায়ন্তু না দেখে সাধারণ মানুষ শরীর ভিজিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের ৭টি গ্রামসহ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতো। কোন প্রকার বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে ব্রীজটি ভাঙার ফলে পশ্চিম এলাকার মানুষের বিভিন্ন ধরণের কৃষি ফসল পরিবহনে বেগ পোহাতে হচ্ছে। এই ব্রীজটির কাছাকাছি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ, একটি ছোট বাজার ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকায় মসজিদের মুসল্লি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। বর্তমানে গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার নাজুক সড়ক ও সরু ব্রীজটি দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে সর্ব সাধারণ। তবে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। … খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকার চুক্তিমূল্যে এল.এইচ.ডি.ই (জে.বি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নতুন ব্রীজটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসের ২৮ তারিখ। তবে বিকল্প সড়ক নির্মান না করে পুরাতন ব্রীজ ভেঙে ফেলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারদের প্রতি ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। দ্রæত একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণে দাবি ভুক্তভোগীদের…. ঠিকাদার কোন প্রকার অবহিত না করে ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছে উল্লেখ করে নতুন যোগদান করা উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইশতিয়াক হাসান জানান, দ্রæত সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণের কথা বলা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। ১নং ওয়ার্ড আলমনগর গ্রামের কাউন্সিলর আবু হানিফ জানান, টেন্ডারে বিকল্প সড়ক নির্মাণের বাজেট থাকা সত্বেও ব্রীজটি ভাঙার আগে বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি চাই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দূর করবেন। এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার লোকমান হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। কেন বা কি কারণে বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে ব্রীজ ভাঙা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে পৌরসভার মেয়র এড. শিব শংকর দাস জানান..