মো. দেলোয়ার হোসেন, ডেস্ক রিপোর্ট;
মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর উপজেলা থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ২০৪১ সালের রুপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে সংসদ সদস্য এবাদুল করিম তার দেয়া নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে কাজ শুরু করেন। সাংসদের ইশতেহার অনুযায়ী নবীনগর উপজেলাকে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলা রুপান্তরে বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আইন-শৃংখলা, দারিদ্র বিমোচন, নদী ভাঙন রক্ষা, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করেন এবং বতর্মানে সকল ক্ষেত্রেই আমুল পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাংসদ, শুরু থেকেই উপজেলার প্রায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সঠিকভাবে পাঠদানের সুযোগ সৃষ্টি করতে নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তান ভেবে ভালবেসে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহবান করার পাশাপাশি এবিষয়ে উপজেলার সকল শিক্ষকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাতে প্রতি বছরের শুরুতেই তথ্য বহুল ‘শিক্ষকের ডায়েরী’ নামে একটি করে ডায়েরী উপহার দিয়ে আসছেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এছাড়াও শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ৪টি স্তরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন সাংসদ।
উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ঢেলে সাজাতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় হাসপাতালটিতে সেবার মান এখন ইর্ষণীয়। যে কারণে স্বাস্থ্য সেবায় ৩৫০ নম্বর সিরিয়ালে থাকা নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে সারা দেশে একাধিকবার ১ম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান, যক্ষা, চক্ষু, দন্ত বিভাগ চালু করার পাশাপাশি এনেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। হাসপাতালের নতুন ভবনের চলমান কাজ শেষ হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ বাস্তবায়নে একজন নির্ভরযোগ্য সারথী হয়ে যাবেন সাংসদ মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
নবীনগর উপজেলার সাথে জেলা শহরের যোগাযোগ তরান্বিত করার লক্ষে শিবপুর-রাধিকা, বিটঘর টু নান্দুরা মহেশরোড, নবীনগর টু আশুগঞ্জ হয়ে জেলাসহ ঢাকা-সিলেট যাতায়াতে জনদুভোর্গ লাঘবে প্রতিটি সড়কের চলমান কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকিতে আর স্থানীয় সাংসদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর ফলে উপজেলাবাসী আশা করছে খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে এর সুফল ভোগ করতে পারবে। শুধু তাই নয় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেও যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হচ্ছে আধুনিকায়ন।
নদী বেষ্টিত নবীনগর উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের জনবসতি রয়েছে নদী ভাঙনের হুমকির মুখে। এই নদী ভাঙন রক্ষায় সাংসদ একাধিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। মেঘনা তীরবর্তী নবীনগর পশ্চিম, বীরগাঁও, শ্যামগ্রাম, বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের নদী ভাঙন রক্ষায় প্রায় সাড়ে ৫শ কোটির প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ১২শ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই মেগা প্রকল্প দুটি সম্পন্ন হলে নদী তীরবর্তী জনগণ নদী ভাঙনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে মাদকের বিরুদ্ধে উপজেলাবাসী সকলকে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন সাংসদ, এর জন্য নবীনগরে গড়ে উঠা মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সংগঠনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে নিজের ঘর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন সাংসদ। এছাড়াও সাংসদ উপজেলার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
উপজেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নির্বাচনের পর পর গঠন করেন উপজেলা দাঙ্গা নিরসন কমিটি। যেই কমিটির মাধ্যমে দাঙ্গা প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেন সাংসদ। ইতিমধ্যে সেসকল এলাকাগুলোতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা একেবারে নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয় দেশের যে কোন উত্তেজনা পরিস্থিতিতে নবীনগর উপজেলাবাসীকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রেখে চলেছেন সাংসদ।
নবীনগর উপজেলাকে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলায় রুপান্তরে সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল এর পাশাপাশি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে একযোগ কাজ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব মাদকমুক্ত, দাঙ্গা মুক্ত শান্তিপূর্ণ শিক্ষিত সমাজ গঠন করা।