অটো রিকশাচালক বাবা দেলোয়ার হোসেন মারা গেছেন প্রায় ৬ মাস। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সংসারের হাল ধরতে ১২ বছর বয়সেই বাবার রেখে যাওয়া সেই অটো রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে ছোট্ট সোহান। ৪ ভাই ১ বোনের মাঝে সোহান মেঝ। সোহানের মতো এমন বয়সী ছেলে-মেয়েরা যেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে খেলা করে বেড়াই সেখানে দুখিনী মা আর পরিবারের সকল সদস্যদের মুখে দু-বেলা দু-মুঠো খাবার যোগাতে সোহান চালাচ্ছে অটো রিকশা। সোহানের পরিবারে রয়েছে ঋণের বোঝা। সোহানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রামের নদীর পাড় এলাকায়। ছোট্ট সোহানকে নিয়ে নবীনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ‘নুর নগর বøাড ব্যাংক’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করলে, সমাজের অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়। সেই ভিডিও দৃষ্টি এড়াতে পারেনি খোদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিরেরও। তাৎক্ষণিক সোহানের মা ও সোহানকে ডেকে পাঠান চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। আজ বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হন সোহান ও তার মা। সেসময় চেয়ারম্যান ছোট্ট সোহানের কাঁধে হাত রেখে তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোহানের সহজ-সরল বড় ভাইটি মাত্র ২ হাজার টাকা বেতনে বেকারীতে কাজ করে আর সোহান অটো চালিয়ে যা রুজি হয় তা দিয়ে কোনরকমে তাদের সংসার চলছে। অবিবাহিত রয়েছে তাদের একমাত্র বোনটি। সোহান যদি এখন লেখাপড়া করে তাহলে তার ছোট দুটি ভাই, মা ও বোনের সম্পূর্ণ খরচ চালানো বড় ভাইয়ের একার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান এর পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরাও যদি সোহানের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান তাহলেই সম্ভব সোহানের লেখাপড়া করা, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা। সোহানের পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য ০১৭৯৬-৬৫৪১৩৪ এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা গেল।