ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তারই প্রতিবেশী শাসছুল হক মাষ্টারের ছেলে সফিকুল ইসলামের নিকট হতে জমি বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা নিলেও জমির দলিল করে দিতে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে টালবাহানা করে আসার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানান সফিকুল। জানা যায়, অত্র ইউনিয়নের শিকানিকা মৌজার ৭৯ নং বি এস দাগের ১৭শতাংশ জায়গা বিগত ৫ বছর পূর্বে ফুল মিয়া মেম্বার, জাকির মেম্বার ও মোর্শেদ মিয়াকে সাক্ষী করে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সির নিকট হতে ক্রয় করেন সফিকুল। চেয়ারম্যানের ভাই জহির বিদেশ থেকে আসলে জমি দলিল করে দেয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান। কিন্তু তার ভাই বিদেশ থেকে আসার পরও উক্ত জায়গা দলিল করে না দিয়ে উল্টো টালবাহানা শুরু করেন তিনি। এবিষয়ে ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম জানান, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার ডোবা ভরাট করার ৫ ল টাকা বাবদ আমার ১৪১ শতাংশ জমির পাশে থাকা ১৭ শতাংশ জায়গা উনার ভাই জহির বিদেশ থেকে এসে আমাকে দলিল করে দিবে বলে আজ ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও দলিল করে দিচ্ছে না, উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। এ বিষয়ে প্রত্য স্বাী সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ফুল মিয়া জানান, বিগত ৫ বছর পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি তার নিজের জায়গা ভরাট বাবদ সফিকুলকে ১৭ শতাংশ জায়গা দলিল করে দিবে বলে আমার সামনে মৌখিক চুক্তি করেছে, কিন্তু আজও দলিল করে দেয়নি। জায়গা দলিল করার বিষয়ে টাকা পয়সা লেনদেন এর সময় উপস্থিত থাকা সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সদস্য জাকির হোসেন জানান, এনামুল হক মুন্সি ৫ বছর পূর্বে আমার সামনে সফিকুলের কাছ থেকে ১৭ শতাংশ জায়গায় মূল্য বুঁঝে পেয়েছে, আমি নিজের হাতে সম্পূর্ণ টাকা লেনদেন করেছি। উনার ভাই বিদেশ থেকে এসে দলিল করে দিবে বলে আজও দলিল করে দেয়নি। উল্টো চেয়ারম্যান মিথ্যা মামলা দিয়ে সফিকুলকে হয়রানি করছে। অপর প্রত্য স্বাী কাজেল্লা গ্রামের দোকানদার মোর্শেদ মিয়া একই কথা জানান। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সি গণমাধ্যম কর্মীদের মামলার হুমকি দিয়ে জানান, আপনারা আগে পত্রিকায় লেখেন পরে আমি বক্তব্য দিব।