ছোট শিশু মো. সাঈদ, দীর্ঘদিন ধরে সে দূরারোগ্য ব্যাধি ‘ইলিয়োকোলিক ইনটাসাসসেপশন’ রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থাভাবে প্রায় জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিল। ঠিক সে সময় স্থানীয় কয়েকজন তরুন ছেলে একত্রিত হয়ে শিশুটির ছবি এটে বাক্স বানিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন চিকিৎসার অর্থ যোগাড়ে। এভাবে মাত্র দুইদিনের মধ্যেই নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় তারা। তাদের দেখে স্থানীয় একটি অনলাইন সামাজিক সংগঠনও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সমাজ সেবক সাবিনা ইয়াছমিন পুতুলের উদ্যোগে আকলিমা বেগম, জামাল, হাসিব, নুরু, জিসান, সাকিব, বন্ধন, রাব্বি, সৌরভ মুন্না, আবদুল্লাহ, বক্কর, উজ্জ্বলসহ সকলের অকান্ত পরিশ্রম আর সার্বিক সহযোগিতায় শিশু সাঈদের সফল অপারেশনের পর আল্লাহর অশেষ কৃপায় সে এখন মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।
এই মানবিক কর্মকান্ডটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ড নবীনগর পশ্চিম পাড়ায়। দিনমজুর মিন্টু মিয়ার ছেলে শিশু মো. সাঈদ। অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে না পারায় এক পর্যায়ে শিশুটি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। এই খবর পেয়ে স্থানীয় ওই তরুনরা এগিয়ে আসে এবং তারাও পারে যে কোন কঠিন কাজকে সফল করতে, তা তারা করে দেখিয়েছে। তাদের ডাকে সকলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার ফলেই শিশু সাঈদের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। শুধুমাত্র শিশু সাঈদের বেলায় নয় সমাজের যেসকল পরিবার অর্থাভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে পারছেন না, এই সকল পরিবারের পাশে আমাদের সমাজে যারা বিত্তবান রয়েছেন তাদের এগিয়ে আসা নৈতিক দায়িত্ব বলেও মনে করছে এই তরুন সমাজ।
চিকিৎসা শেষে শিশু সাঈদ বাড়িতে আসলে তাকে দেখতে ওই তরুনরা ছুটে যায়। এসময় স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন, সমাজ সেবক মো. আনোয়ার হোসেন, সাবিনা ইয়াছমিন পুতুল, আকলিমা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।