ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নদী ভাঙনে প্রতিবছরই মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাছে ফসলি জমিসহ শত শত ঘরবাড়ি। মেঘনার এ ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করে কোনো রকমে টিকে আছে এসব অঞ্চলের মানুষগুলো। অনেকেই নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউ কেউ আবার এ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। মেঘনার ভাঙনের পাশাপাশি এখন আবার যোগ হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন। যার ফলে আগের তুলনায় বর্তমানে নদী ভাঙন আরো দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে নবীনগরের নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় ওইসব এলাকায় বসবাসরত সকলেই ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এ বিষয়ে আজ শনিবার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো. মোশারফ হোসাইন উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের চরলাপাং এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেঘনা ও তিতাস নদীর মোহনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ৩টি ড্রেজার, ৩টি বালুবাহী নৌকা ও ড্রেজার মালিকদের না পেয়ে ড্রেজার ও নৌকায় কাজ করা ১৮জন শ্রমিককে আটক করে। নবীনগর থানার ওসি তদন্ত নূরে আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা সার্বিক সহযোগিতা করেন। আটককৃত ড্রেজার, নৌকাসহ ১৮জন শ্রমিক বর্তমানে নবীনগর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
পরে এবিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং-এ নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মো. মোশারফ হোসাইন ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ জানান, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।