ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও টিকা গ্রহণে আগ্রহ বেড়েছে উপজেলার সর্ব সাধারণের। করোনা রোগীসহ সরকারি হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীর চিকিৎসার সেবা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
গতকাল রবিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন অসংখ্য সাধারণ মানুষ আসছেন করোনা পরীক্ষা এবং করোনা টিকা গ্রহনের জন্য। সাধারণ রোগীরাও প্রাইভেট হাসপাতালগুলো ফেলে এখন ভীড় করছেন সরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসকগণও তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেবা করে চলেছেন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট খুবই শক্তিশালী হওয়ায় এটির প্রতিরোধে সারা দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। প্রথম দিকে পুরো উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা কম হলেও বর্তমানে শনাক্তের হার বেড়েই চলেছে। হাসপাতালেও ভর্তিও রয়েছেন করোনা রোগী।
ঈদুল আযহার আগ মুহুর্ত থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে করোনা রোগী শনাক্তের হার কিছুটা বেশির পিছনে উপজেলা সদরের কাছাকাছি কোরবানীর পশুর হাট এবং সর্ব সাধারণের অবাধে চলাফেরাকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত পুরো উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১,০৩৯জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৩০জন, আইসোলেশনে আছেন ৪৯২জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭জন। আর দ্বিতীয় ধাপে করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন ১,৪২৮জন।
সরকারের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিয়মিত মাস্ক পরিধান করা, ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হলেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব বলে মনে করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মোশরাত ফারখান্দা জেবিন। বর্তমানে কোন অবস্থাতেই জ্বর, ঠান্ডা, কাশিসহ গলাব্যাথা থাকলে অবহেলা না চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবনের তাগিদ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।
ভিডিও সহ পুরো নিউজ দেখুন…