আমি সবসময় মাস্ক পড়ি, আজ ভুলে পকেটে রাখছি, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাস্ক আনতে মনে নাই এমন নানান অজুহাতের কথা প্রতিনিয়তই শুনতে হচ্ছে প্রশাসনসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের। ঈদ পরবর্তী সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের আজ প্রথম দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদর বাজার ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। কেউ কেউ আবার দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাস্ক ছাড়া।
কঠোর এই লকডাউন সর্বাত্মক বাস্তবায়নে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কড়া নজরদারি। সকাল থেকেই উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশি টহল।
নবাগত উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ একদল পুলিশ নিয়ে নবীনগর সদর বাজারে পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এসময় সরকারের বিধি-নিষেধ অমান্য করায় একাধিক ব্যক্তিকে ৪টি মামলায় ১,৭৫০/- টাকা আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন।
সরকারের সকল বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্য বিধি আন্তরিকতার সাথে প্রতিপালনের অনুরোধ জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন জানান, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে দেশ ও নিজেকে নিরাপদে রাখতে হলে আমাদের সকলেরই এই সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি প্রত্যেকে নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা আবশ্যক এবং অপ্রয়োজনে আমরা কেউ যেন ঘরের বাইরে বের না হই। আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এদিকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে নবীনগর থেকে ছেড়ে যায়নি কোন দূর পাল্লার বাস, লঞ্চ, স্পীডবোট ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা।