এনামুল হক, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ):
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। জনস্বার্থে সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। বুধবারে জনসচেতনতায় প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। লকডাউন শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন। যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও টহল দিতে দেখা গেছে। এসময় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও সরকারি আদেশ অমান্য করার অপরাধে অনেককেই সতর্ক করেছে প্রশাসন। সেইসাথে লকডাউনে ঘর থেকে বের না হওয়াসহ সরকারি নির্দেশনা হ্যান্ড মাইকে প্রচার করা হয়েছে। কঠোর লকডাউনের ৭ম দিন বুধবার সরকার নির্ধারিত লকডাউন মানাতে এসব কাজ করেন প্রশাসন।
ত্রিশালে বুধবার লকডাউন নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তাফিজুর রহমান ত্রিশাল থানার পুলিশের নেতৃত্বে প্রশাসন মাঠে নামে। সকাল থেকে তারা ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, থানা রোড, ও গরুহাটা মোড় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খোলা দোকান বন্ধ করে দেন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে বেচা কেনার জন্য বিভিন্ন ঔষধের ও নিত্যপ্রয়োজনিয় পণ্যের ব্যবসায়ীদের বলেন। এসময় তারা লকডাউন নিশ্চিতে সরকারী আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালান।
সেই সাথে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারী আদেশ মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য কয়েকজনকে সর্তক করা হয়। এসময় সহযোগিতা করেন থানা পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকগণ।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনে মানুষ সরকারী আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং মাস্ক না পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বাড়ানোসহ আরও কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।লকডাউন বাস্তবায়নে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।